
প্রকাশিত: Tue, May 28, 2024 3:44 PM আপডেট: Wed, Apr 30, 2025 4:39 AM
সামষ্টিকভাবে মানুষ যখন অপরাধকে জাস্টফাই করা শিখে যায়, সেটা সমাজকে আস্তে আস্তে পতনের দিকে নিয়ে যায়
শাকিব মুস্তাভী
কোরআনে বিভিন্ন জাতির উপর নেমে আসা গজবের বর্ণনা আছে। একেক জাতির অপরাধ ছিল একেক রকম। সালিহ (আ.) এর কাহিনি ছাড়া কোরআনে বর্ণিত বাকি কাহিনিগুলো বাইবেলেও পাওয়া যায়। পাপ ব্যক্তিগত বিষয়। সৃষ্টিকর্তা পাপের কারণে পাপীকে শাস্তি দেন। কিন্তু যখন গজব নেমে আসে, সেটা শুধু পাপীকে নয়, যারা পাপ করেনি তাদেরও ধ্বংস করে। কোরআনের ঘটনাগুলো পড়ে আমার পার্সোনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং হলো, শুধু পাপের কারণে জাতিগুলোকে ধ্বংস করা হয়নি। গজব নাজিল হওয়ার অন্তর্নিহিত কারণ আরও গভীর। আপনারা হয়তো খেয়াল করে দেখেছেন, প্রতিটা জাতির আলাদা আলাদা অপরাধ ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে একটা জায়গায় মিল ছিল। সেটা হলো নবীদের প্রতি অবাধ্যতা। নবীরা কী করেন? নবীরা ওহীর জ্ঞান দ্বারা মানুষকে সৎ ও অসৎ কাজের পার্থক্য শেখান। মানবীয় সীমাবদ্ধতার কারণে কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে অসৎ কাজ পুরোপুরি পরিহার করা অসম্ভব। মানুষের এই সীমাবদ্ধতার কথা সৃষ্টিকর্তা জানেন এবং নবীরা জানতেন। সুতরাং সব মানুষকে ভালো বানানো নবীদের উদ্দেশ্য ছিল না। তাহলে নবীদের উদ্দেশ্য কী ছিল?
নবীরা মূলত ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য শেখাতেন। অর্থাৎ নবীদের কাজ ছিল সমাজে সামগ্রিকভাবে ভাল ও মন্দের ধারণা প্রতিষ্ঠা করা। জরুরি নয় যে, সবাই অক্ষরে অক্ষরে সেটা পালন করবে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। তাই কেউ ভুল করে ফেললে অনুতপ্ত হয়ে আবার সৎ পথে ফিরে আসবে। এটাই কাম্য। কিন্তু যারা নবীদের অবাধ্যতায় লিপ্ত হতো, তারা নবীদের শেখানো ভালোকে ভালো এবং মন্দকে মন্দ বলে স্বীকারই করত না। আর বাকিরা নিরব দর্শকের মতো অবাধ্যতাকারীদের সীমালংঘনকে মেনে নিতো। অর্থাৎ এর কালেক্টিভ কনশেনসাস বা সামষ্টিক সম্মতির মাধ্যমে ভালো ও মন্দের ডেফিনিশন চেঞ্জ করে ফেলত।
আপনি যদি নিজের চারপাশে তাকান, তাহলে দেখবেন, সমাজে প্রচুর মানুষ মন্দকে মন্দ বলে স্বীকার করে না। মানুষ নির্লজ্জ্বভাবে দুর্নীতিবাজের পক্ষে সাফাই গাইছে। অসৎ মানুষদের সফল মনে করছে। অন্যের উপর হওয়া জুলুমকে নানাভাবে ডাউন প্লে করছে। সোজা কথায়, অসৎ কাজকে নর্মালাইজ ও জাস্টিফাই করার প্রবণতা ক্রমশ আমাদের মাঝে ক্রমশ বাড়ছে। আমার ভয়টা মূলত এই জায়গায়। মানুষ অপরাধ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সামষ্টিকভাবে মানুষ যখন অপরাধকে জাস্টফাই করা শিখে যায়, সেটা সমাজকে আস্তে আস্তে পতনের দিকে নিয়ে যায়। এই পতনোন্মুখ সমাজের পরিণতি কী হবে সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
